হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত ইতালি নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান সিটির স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
গত বছর ১ জুলাই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজানে ওই হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এদের মধ্যে নয় জনই ছিলেন ইতালি নাগরিক।
নিহত ওই নয় ইতালি নাগরিক পরিবারের মোট ৩৬ জন্য সদস্য পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে পোপ তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ভালোবাসার পথ থেকে ঘৃণার পথে যাওয়াটা সহজ। কিন্তু এর উল্টোটা করা কঠিন।
সাক্ষাতকালে নিহত ইতালি নাগরিকদের স্বজনরা এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নিজেদের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের কিছু চিত্র পোপ ফ্রান্সিসের সামনে তুলে ধরেন।
এক নিহতের ভাই জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর তিনি ঢাকায় এসেছিলেন এবং একটি চার্চের উন্নয়নে সহায়তা করেছেন।
অপর এক নিহতের পরিবার জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরে চার্চ স্থাপনে সহায়তা করেছেন।
আরেক নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির প্রকল্প চালু করেছে তারা।
পোপ বলেন, এই ঘটনা নিঃসন্দেহে তোমাদের মনে দুঃখ-কষ্ট, ঘৃণা ও প্রতিশোধের স্পৃহা জাগানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু তোমরা এই যন্ত্রণা সহ্য করে ভালোবাসার পথেই হেঁটেছো; বাংলাদেশের মানুষকে সাহায্য করেছো। বিশেষ করে তরুণ বাংলাদেশিরা যেন লেখাপড়া করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছো। এটাই শান্তির পথ। এ জন্য আমি তোমাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার কাছে এটা উদাহরণ।
গুলশান হামলায় নিহত নয় ইতালি নাগরিকের নামে নয়টি জলপাই গাছের চারাও রোপণ করেন পোপ ফ্রান্সিস।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। যদিও তার এই সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা