গাড়ির মাথায় লাল বাতি লাগিয়ে গাড়ি চড়ার দিন শেষ। আগামী মাস থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-কেউই আর লাল বাতি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। বাতি ব্যাবহার করা যাবে শুধুমাত্র জরুরি পরিসেবার (ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী) ক্ষেত্রে।
‘ভিআইপি কালচার’ শেষ করতে বুধবারই ভারতের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে সরকার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১ মে থেকে আর কোনো ভিআইপি, রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাঁদের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না।
পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেন, ‘সব মন্ত্রীদের বহনকারী গাড়ি থেকে লাল বাতি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। একমাত্র জরুরি পরিসেবার ক্ষেত্রে গাড়ির মাথায় নীল বাতি ব্যবহার করা যাবে। আগামী ১ মে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে’।
তবে ইতিমধ্যেই নিজের গাড়ির মাথা থেকে লাল বাতি খুলে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।
এতদিন নিয়মমাফিক ৩২ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের অধিকার পেতেন। এই ‘ভিআইপি কালচার’ শেষ করতে গত সপ্তাহেই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত দেড় বছর ধরে এই ইস্যুটিতে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছিল না।
এদিকে, সরকারি গাড়িতে লালবাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নজির গড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সম্প্রতি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-এই দুইজনেই ভিআইপি কালচার শেষ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই অমরিন্দর মন্ত্রীদের গাড়ি থেকে লাল, হলুদ, নীল বাতি পরিহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া সম্প্রতি লাল বাতি পরিহার করে সাধারণ ট্রাফিক ব্যবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে দিল্লির বিমানবন্দরে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল, ২০১৭/মাহবুব