পর্তুগালের মধ্যাঞ্চলে দাবানলে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ জনের কাছাকাছি। তবে স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে মৃতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে যেতে পারে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় পঞ্চাশজনের কাছাকাছি।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্য পর্তুগালের কয়েমব্রা শহরের পেনেলাতে অতিরিক্ত গরমের কারণে হঠাৎ দাবানল দেখা দেয়। প্রথমে প্রায় ৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এদের বেশিরভাগই রাস্তার মধ্যে গাড়িতে আটকা পড়া অবস্থায় মারা গিয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনায় আহত হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ অন্তত ৫৯ জন। একই সঙ্গে কয়েক মাইল জঙ্গল পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনিও কোস্তা। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সম্প্রতি বছরগুলিতে যতগুলি দাবানল হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাণঘাতী বলেও দাবি করেছেন তিনি৷
শনিবার পর্তুগালের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সেসকল অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। ওই দিন বিকেলে পেদরোগো গ্রানজি পৌরসভায় দাবানলের সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। ওই দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকশ অগ্নিনির্বাপণ কর্মী ও ১৬০টি যানবাহন পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গোমস বলেন, দাবানলে মৃত্যু হওয়া ৩০ জনের লাশ গাড়িতে পাওয়া যায়। আরও ১৭ জনের লাশ পাওয়া যায় অন্যান্য যানবাহনে। হাসপাতালে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার