শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রবেশ করেন ২০১২ সালে। তবে বিগত পাঁচ বছরে একটি বারও টুইট করেননি পাকিস্তানের এই নারী শিক্ষার আন্দোলনকর্মী। শুক্রবার প্রথম টুইট করেন মালালা। আর তাতেই বাজিমাত। বিপুলসংখ্যক লোক প্রতিক্রিয়া জানান তাঁর টুইটে।
এদিকে, প্রথম টুইটের পর মালালাকে টুইটারে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের নবম মহাসচিব এন্তোনিয়ো গুতারেজ ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বহু ব্যক্তিত্ব। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারও মালালাকে স্বাগত জানিয়েছে তাদের মাধ্যমে।
১৯ বছর বয়সী মালালার প্রথম টুইটটা ছিল এরকম- ‘হাই, টুইটার’। এর আধা ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর অনুসারী জুটে যায় লক্ষাধিক। সম্ভবত, এত অল্প সময়ে টুইটারে অনুসারী বাড়ার রেকর্ড এটি।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বার্মিহামে বসবাসরত মালালা দ্বিতীয় টুইটে লিখেন , ‘আজ স্কুলে আমার শেষ ও টুইটারে প্রথম দিন।’
এরপর আরও বেশ কয়েকটি টুইট করেন পাকিস্তানের এই নারী শিক্ষা আন্দোলনকর্মী। এর একটিতে তিনি লিখেন, ‘মাধ্যমিক স্কুলের (হাইস্কুল) পাঠ সম্পন্ন করা ছিল আমার জন্য অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা। আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে উল্লসিত, কিন্তু…।’
আরেক টুইটে মালালা লিখেন, ‘বিশ্বে লাখ লাখ মেয়ে স্কুলের বাইরে এবং তারা কখনোই শিক্ষা শেষ করার সুযোগ পায় না।’
এর পরের টুইটে শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা লিখেন, ''প্রত্যেক নারী জীবনকাহিনী ভিন্ন- এবং শিক্ষা ও সমতার জন্য যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে নারীদের কণ্ঠস্বর হলো সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।''
মালালার এসব টুইটে করা রিটুইটে অনেকে তাঁকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার টুইটারে আসায় মালালাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মালালার জন্ম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায়। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবানের গুলিতে জন্মস্থানেই গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। বর্তমানে দেশটির বার্মিহামে বসবাসরত মালালা ২০১৪ সালে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব