বাবা রাম রহিমকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতের বিশেষ সিবিআই আদালত। এর পরে ডেরা সচ্চা সওদার অন্দরে বড় জল্পনা শুরু হয়েছে এক নারীকে নিয়ে। দোষী সব্যস্ত হওয়ার পর জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ও এই নারী ছিলেন রাম রহিমের হেলিকপ্টারে। এমনকি জেলে বাবার সঙ্গে রাত্রিবাসও করতে চান তিনি। কিন্তু এ ভাবে জেলে কোন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে নারীকে থাকতে দেওয়া যায় না বলে জেলের অফিসাররা বাধ সাধেন। তাতে ক্ষিপ্ত হন বাবা।
পরে জানা যায়, এই নারী আর কেউ নয়, তিনি হলেন রাম রহিমের দত্তক নেওয়া মেয়ে হানিপ্রীত ইনসান। হানিপ্রীতকে নিয়ে সবচেয়ে বড় যে জল্পনা লুকিয়ে রয়েছে, তা হল বাবার পর তিনিই হতে চলেছেন ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান। কারণ রাম রহিমের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে হানিপ্রীতই বাবার সবচেয়ে কাছের।
প্রভাবশালী এই ধর্মীয় সংগঠনের রাশ ধরার সমস্ত অস্ত্র হানিপ্রীতের কাছেই রয়েছে বলে জল্পনা তুঙ্গে।
কে এই হানিপ্রীত? প্রিয়াঙ্কা তনেজা নাম ছিল তাঁর। ১৯৯৯ সালে ডেরারই এক শিষ্য বিশ্বাস গুপ্তকে বিয়ে করে তিনি নাম পরিবর্তন করেন। নতুন নাম হয় হানিপ্রীত ইনসান। এর পরে হানিপ্রীত অভিযোগ করেন, বিশ্বাসের পরিবার তাঁর উপর নির্যাতন করছে। তখন বাবা গুরু রাম রহিম হানিপ্রীতকে দত্তক নেন।
নিজেকে ‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’, সমাজসেবী, পরিচালক, চিত্র সম্পাদক, অভিনেত্রী বলে পরিচয় দেন হানিপ্রীত। তাঁর দাবি, ‘রকস্টার বাবার’ নির্দেশকে কাজে পরিণত করাই তাঁর কাজ। নিজেকে বাবার মতোই সমান গুণের অধিকারী বলে দাবি হানিপ্রীতের। রাম রহিম সিংহ অবশ্য হরজিৎ কৌরকে বিয়ে করেছেন। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে চরণপ্রীত ও আমনপ্রীত। দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। আর আছে এক ছেলে জসমীত। কে বাবার পরে ডেরার দায়িত্ব হাতে নেবেন, তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার