ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের একটি সামরিক ঘাঁটিতে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে ইসরায়েলের নর্দান ডিভিশনের কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
লেবাননের আল-মানার টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত তুলে ধরা হয়েছে।
হতাহত সেনাদের হেলিকপ্টারে করে জিফ হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সীমান্তের হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
ইরানের প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের একটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। এর আগে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের একটি সামরিক যান ধ্বংস এবং কয়েকজন ইহুদি সেনা হতাহত হয়। ইসরায়েলি সেনা হতাহত হওয়ার ব্যাপারে খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তেল আবিব।
ইসরায়েল এরইমধ্যে দক্ষিণ লেবাননের অভ্যন্তরে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া, ইসরায়েলি সেনারা ফসফরাস বোমা ব্যবহার করছে। সীমান্তের চার কিলোমিটারের মধ্যকার ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদেরকে ঘর-বাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি- মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ফরাসি প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বনের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। টেলিফোন আলাপে সাদ হারিরি চলমান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও হস্তক্ষেপ করার জন্য আমেরিকা ও ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর লেবাননের শেবা কৃষি খামার সংলগ্ন সীমান্তে ইসরাইল সেনা সমাবেশ জোরদার করে।
শনিবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজধানী বৈরুতে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি ড্রোন হামলার জবাব দেয়ার যে সিদ্ধান্ত তার সংগঠন নিয়েছে তার কোনো নড়চড় হবে না। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের ড্রোন হামলার জন্য ইসরাইলকে ‘মূল্য পরিশোধ করতে হবে’। সূত্র : পার্সটুডে
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত