বিগত ১০ মাসের দীর্ঘ আলোচনার পর মিলল সমাধান। অবশেষে ২ হাজার পাতার চুক্তিপত্রে সম্মতি জানিয়েছে ইওরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) লন্ডনে দুই পক্ষের এ বিষয়ক এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেনের সংসদে চুক্তিপত্র নিয়ে ভোটাভুটি হবে। তারপর ১ জানুয়ারি ব্রিটেন ইওরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে পুরোপুরি বের হয়ে এলে ইওরোপীয় সংসদে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
ব্রিটেনের সমুদ্র এলাকায় ইওরোপীয় ব্লকের মৎস্যজীবীরা ঢুকতে পারবেন কি না, তা নিয়েই মূলত জট ছিল। শেষ পর্যন্ত তাতে সম্মতি দিয়ে বরিস সরকার। এছাড়াও পণ্য আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রেও আপাতত শুল্ক বা কোটা চাপানো হবে না। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রথাগত নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। ইওরোপীয় ব্লকের বাসিন্দারা কর্মসূত্রে ব্রিটেনে এলে ভিসা নিয়েই আসতে হবে। এমনকি পণ্য পরিবহন এবং যাতায়াতেও সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে।
দুই পক্ষের বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গে ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসালা ভন ডার লিওন বলেন, আমাদের একটি নিরপেক্ষ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যা দুই পক্ষের জন্যেই মঙ্গলজনক হবে। এদিকে, চুক্তি সইয়ের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চুক্তি সই সফলতায় দুই হাত উঁচু করে বিজয়ের উল্লাসরত অবস্থায় টুইটে এক ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপসনে তিনি বলেন, আমরা আমাদের রাজত্বের কর্তৃত্ব আয়ত্তে নিয়েছি। মানুষ বলেছে এটা অসম্ভব, কিন্তু আমরা এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ