মালয়েশিয়ার সঙ্গে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। তবে মালয়েশিয়া অবশ্য এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
সম্প্রতি অর্থপাচারে অভিযুক্ত মুন চল মিয়ং নামে এক উত্তর কোরীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে মালয়েশীয় আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এই রায়কে 'অবাস্তব, বানানো, চক্রান্ত' বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া।
পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তিকে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থপাচার এবং উত্তর কোরিয়ায় অবৈধ চোরাচালানে সহায়তার জন্য জাল নথিপত্র তৈরির অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির সরকারি গণমাধ্যম জানায়, এটা পুরোপুরি ওয়াশিংটনের চক্রান্ত। আমেরিকাই হলো তাদের রাষ্ট্রের শত্রু। মালয়েশিয়া এক বিশাল শত্রুতাপূর্ণ কাজ করেছে। উত্তর কোরিয়ার ওই নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে ঠিক পথে ব্যবসা করছিলেন। মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের জন্য তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিচ্ছেন।
উত্তর কোরিয়ার দাবি, আমেরিকাকেও এর জন্য উচিত মূল্য দিতে হবে।
এর আগে মালয়েশিয়ার শীর্ষ আদালত জানায়, উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মুন চল মিয়ং এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পেছনে কোনো রাজনীতি নেই। তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া যেতে পারে। মালয়েশিয়ার সরকার আগেই আমেরিকার অনুরোধ মেনে মুনকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মুন সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান।
এ ঘটনাটা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে। আমেরিকা চাইছে, উত্তর কোরিয়া যেন পরমাণু অস্ত্র না বানায়, এই বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা বাতিল করে। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, বাইডেন প্রশাসন এবার উত্তর কোরিয়া নীতির পর্যালোচনা করবে। শরিকদের সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন