২২ জুন, ২০২১ ২২:৩৪

নর্থ কোরিয়ায় এক প্যাকেট কফি প্রায় ৮ হাজার টাকা, কলার কেজি সাড়ে ৩ হাজার

অনলাইন ডেস্ক

নর্থ কোরিয়ায় এক প্যাকেট কফি প্রায় ৮ হাজার টাকা, কলার কেজি সাড়ে ৩ হাজার

পরমাণু অস্ত্র ও নিত্য নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে পরীক্ষা-নিরীক্ষা অব্যাহত থাকলেও খাদ্য সংকটে রয়েছে কিমের নর্থ কোরিয়া। দেশটিতে চাল, জ্বালানির দাম মোটামুটি স্থিতিশীল হলেও চিনি, সয়াবিন তেল, ময়দার মতো বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যে মূল্যবৃদ্ধির আঁচে হাত দেওয়ার উপায় নেই। 

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজধানী পিয়ংইয়ঙে এক প্যাকেট কফির দাম ১০০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আট হাজার টাকার সমান)। ব্ল্যাক টি-র একটা ছোট প্যাকেটের দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ মার্কিন ডলার। এক কেজি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ মার্কিন ডলারেরও বেশি (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকার সমান)। পিয়ংইয়ঙে এক বোতল শ্যাম্পু কিনতে হচ্ছে ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, উত্তর কোরিয়ায় মোটামুটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্যের ঘাটতি আছে, যা তাদের দু’মাসের বেশি সাপ্লাইয়ের সমান। ২০২০-২১ এর শীতে এই সঙ্কটের সূত্রপাত। করোনা অতিমারীর জেরে বাইরে থেকে খাদ্যপণ্যের আমদানি কমে যায়। সারের জন্য উত্তর কোরিয়াকে চীনের ওপর নির্ভর করতে হয়। গত মে মাসে শোনা যায়, চাষিদের সার তৈরির জন্য রোজ নিজেদের ২ লিটার করে প্রস্রাব ডোনেট করতে হবে। 

উত্তর কোরিয়া এখনো দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও এই সময়ে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় হলেই খাদ্য সংকট চরম অবস্থায় পৌঁছাবে। তবে এখনো পরিস্থিতি যথেষ্ট সংকটজনক। সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকগুলোর ব্যর্থতার পর থেকেই গত ২ বছরে আমেরিকা কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে কিম তথা উত্তর কোরিয়ার। এমতাবস্থায় বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও গত বুধবার বৈঠকে আলোচনা করেন কিম।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে ও দ্য ওয়াল।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর