সংকট কাটাতে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে সহগযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সাথে ফোনে আলাপকালে তিনি এমন আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান, তার সরকার আফগানিস্তানের জনগণের জন্য মানবিক, উন্নয়নমূলক সহাযোগিতার পাশাপাশি দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
প্রায় দুই দশকের যুদ্ধ শেষে ন্যাটো সেনাদের উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকেই আফগান নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে তালেবানদের সংঘর্ষ চলছে। প্রতিদিনই সেখানে সাধারণ মানুষ নিহতের ঘটনা ঘটছে। আশরাফ গানির নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উচ্ছেদ চায় তালেবানরা।
শুক্রবারের আলোচনায় দুই সরকারপ্রধান তালেবানদের এমন সহিংস কার্যক্রমের নিন্দা জানান।
তার আগে দেশটির বিমানবাহিনী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট শক্তিশালী নয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আফগান সরকারের কমর্কর্তারা। শুক্রবার বাইডেন ও গানির আলোচনায় এ বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় দশ কোটি ডলার সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তাছাড়া গত বিশ বছরে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তাদেরকে বিশেষ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আফগানিস্তানের বতর্মান প্রেক্ষাপটে শরণার্থী, বাস্তুচ্যুত ও সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরাসহ যারা নিরাপত্তার ঝুঁকিতে আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে এ অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, তালেবানদের হামলায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকা গানি সরকারের পতন চায় তালেবানরা।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তালেবানদরে মুখপাত্র সুহাইল শাহিন জানান, আফগানিস্তানে গানি প্রশাসনের অবসান ও আলোচনার ভিত্তিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পযর্ন্ত তারা ‘সহিংসতা থামাবে না'৷
তার আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান মার্ক মিলে জানান, তালেবানরা দেশটির অর্ধেক এলাকা দখলে নিয়েছে।
তালেবানদের হটাতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন