ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ বুধবার হামলার সপ্তমদিন। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, গত ছয় দিনে রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়েছে। এক যোগে বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভেও অভিযান শুরু করেছে। তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশটির বেসামরিক নাগরিকরা কোথাও কোথাও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
রাশিয়াকে ঠেকাতে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও সামরিক অভিযান বন্ধের কোনও বিষয়ে কর্ণপাত করেননি পুতিন।
বেলারুশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুইপক্ষ। ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতে ইতোমধ্যে তিনটি শর্ত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেগুলো হল- ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ ও বিচারের মুখোমুখি করা এবং এর নিরপেক্ষ মর্যাদা নিশ্চিত করাসহ রাশিয়ার বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ নিঃশর্তভাবে বিবেচনায় নেওয়া।
এদিকে, যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে এবার আমেরিকার আকাশে রুশ বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞায় সই করবেন।
তিনি বলেছেন, “রুশ মালিকানাধী ও পরিচালিত সব ধরনের বিমানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।” সূত্র: বিবিসি, স্কাই নিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম