রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের হাতে পশ্চিমা দূরপাল্লার অস্ত্র আসার পর সেদেশে রাশিয়ার ভৌগোলিক লক্ষ্য শুধু ডনবাস দখলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না।
রাষ্ট্রীয় টিভি রাশিয়ান টেলিভিশনের (আরটি) সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো দূরপাল্লার রকেট ও কামান সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ার রাশিয়া তাদের 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' ভৌগলিক লক্ষ্য এরই মধ্যে পূর্বের ডনবাস ছাড়িয়ে দক্ষিণের খেরসন এবং জাপোরোৎজিয়া অঞ্চলে প্রসারিত করেছে।
অর্থাৎ, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকারান্তরে হুমকি দেন পূর্বের ডনবাসের বাইরেও আরো এলাকা দখলের লক্ষ্য নিচ্ছে রাশিয়া।
তিনি যুক্তি দেন, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা থেকে পশ্চিমা এসব দূরপাল্লার অস্ত্র যাতে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হুমকি তৈরি না করতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
"প্রেসিডেন্ট (পুতিন) খুব স্পষ্ট করে (ইউক্রেনকে) নাৎসীমুক্ত এবং সেনামুক্ত করার কথা বলেছেন যাতে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে না পড়ে। ইউক্রেনের ভেতর থেকে কোনো সামরিক হুমকি তৈরি হলে, আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনের কাজ অব্যাহত থাকবে।"
লাভরভ বলেন, মার্চের শেষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি স্থাপনে যখন কথাবার্তা হয়েছিল তখনকার চেয়ে রণাঙ্গনের বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।
"ভৌগোলিক লক্ষ্য এখন অনেক আলাদা। এই লক্ষ্য এখন দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখন এটির লক্ষ্য খেরসন অঞ্চল, জাপোরোৎজিয়া এবং আরো বেশি কিছু এলাকা।"
লাভরভ বলেন, ইউক্রেনের নতুন নতুন এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো, তার ভাষায়, 'অক্ষম ক্রোধের বশবর্তী হয়ে' ইউক্রেনকে হিমার্সের (মার্কিন রকেট) মতো দূরপাল্লার অস্ত্র জুগিয়ে চলেছে, ফলে রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' রণাঙ্গন ইউক্রেনের আরো অভ্যন্তরে প্রসারিত হবে।
"জেলেনস্কি বা তার বদলে ভবিষ্যতে যিনি ক্ষমতায় আসুক না কেন তার নিয়ন্ত্রণের থাকা ইউক্রেনের এলাকায় মোতায়েন করা অস্ত্র আমাদের এলাকায় এবং যে দুটি রিপাবলিক (দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক) স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে সেখানে সরাসরি হুমকি তৈরি করবে - তা আমরা হতে দেব না।"
সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ