যৌথভাবে বিশাল যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি হচ্ছে দুই দেশের সবচেয়ে বড় মহড়া। এর মধ্যদিয়ে দেশ দুটি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে মূলত নিজেদের শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে।
সোমবার 'উলচি ফ্রিডম শিল্ড' নামে এই মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা এবং আগামী এক সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।
আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এই যুদ্ধ মহড়ার প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং তাতে কোরিয়-উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে, আমেরিকা ও তার দেশের মধ্যকার যৌথ মহড়াকে তিনি সাধারণ ঘটনায় পরিণত করবেন যাতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়ানো সম্ভব হয়। উত্তর কোরিয়া এই যৌথ মহড়াকে তার বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।
আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে শক্তভাবে টিকে থাকার জন্য উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে পরমাণু অস্ত্রবাহী আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে।
আজকের মহড়া সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ায় হাজার হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে এবং দেশের ১১টি স্থানে এটি অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ কোরিয়া আরো জানিয়েছে যে, তারা এই মহড়ার মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করবে।
সূত্র: গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
