বিগত কয়েক বছর ভারতের বৈশ্বিক অবস্থান দেশটিকে নেতৃত্বস্থানীয় ও আঞ্চলিক অংশীদার এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ত করেছে। প্রধান ধনী দেশগুলোর সংস্থা জি-সেভেনে ভারতকে নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এছাড়া উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর সংগঠন ব্রিকস, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত কোয়াডেরও সদস্য ভারত।
আগামী ডিসেম্বরে ভারত প্রথমবারের মতো ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ গ্রুপের সভাপতি হবে। পরবর্তী ১ বছর ভারত সংস্থাটির সভাপতি থাকবে। এছাড়া ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল (ইউএনএসসি) এবং সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনেরও সভাপতি হবে ভারত।
করোনা মহামারি পরবর্তী বিশ্ব এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এই কঠিন সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভূরাজনৈতিক এবং বড় অর্থনৈতিক পর্যায়ের (ম্যাক্রো ইকোনোমিক লেভেল) অনিশ্চয়তা সমাধানে অর্থপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা চাইবে। বর্তমান বিশ্ব যেসব সমস্যায় জর্জরিত ভারত সেগুলোর সমাধান দিতে পারে।
ভারতের সম্পৃক্ততা শুধুমাত্র ধনী এবং প্রভাবশালীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশটি উন্নয়নশীল বিশ্বেরও জোরালো সমর্থন পাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত বৈশ্বিকদক্ষিণ অঞ্চলের কণ্ঠস্বরকে ( ভয়েস) উপলব্ধি করাচ্ছে। জি-২০ গ্রুপের সভাপতি হিসেবে দিল্লী উন্নয়নশীল দেশগুলোর আশা-আকাঙ্খার প্রতিনিধিত্ব করবে।’
আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি শক্তিশালী উন্নয়শীল দেশের পরিচয়পত্র রয়েছে। একইসঙ্গে কর্ম ও চিন্তায় স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি, রয়েছে অর্থনৈতিক ভিত্তি। এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারতকে বিশ্বে নেতৃত্ব দেওয়ার অবস্থান করেছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ডিজিটাল রূপায়ন, প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন উদ্ভাবন এবং বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থার উন্নয়নের অর্জন ও অভিজ্ঞতা ভারত জি-২০ এর সভাপতি হিসেবে প্রধান অংশীদারদের মধ্যে শেয়ার করতে পারে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল