পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করেছেন। আগামী ৯ আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণার একদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খান নিজেকে গৃহবন্দী দাবি করে মিডিয়ায় কথা বলেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি একপ্রকার গৃহবন্দী। দেশের সামরিক এস্টাবলিশমেন্ট নির্বাচনের ভয়ে ‘অবশ’ হয়ে গেছে। কারণ, তারা ভয় করছে যে নির্বাচনে পিটিআই জয়ী হবে।
ইমরান বলেন, দলের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কর্মীদের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তারপরও দল এখনো যথেষ্ট অক্ষত রয়েছে। কিছু কিছু নেতা চাপের মুখে পড়ে দলত্যাগ করেছেন। এখনো দলের নারী কর্মীসহ ১০ হাজার নেতাকর্মী জেলে আছেন। তাদের অনেককেই হেফাজতে নেওয়ার নামে নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশকে বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনার একমাত্র সমাধান। দেশে অঘোষিত সামরিক আইন চলছে এবং দেশ অন্ধকার যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইমরান খান বলেন, তার দল কোনো সামরিক এস্টাবলিশমেন্টের সমর্থনে তৈরি হয়নি। পিটিআই সেনাবাহিনীর কারণে ক্ষমতায় আসেনি। তবে ২০১৮ সালে পিটিআই সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করেনি বলেই ক্ষমতায় এসেছিল।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার দলকে শূন্য থেকে তৈরি করেছেন। তার দলের ওপর যে জনগণের প্রকৃত সমর্থন রয়েছে তা প্রমাণিত হয় পিটিআই সরকারের পতনের পরও ৩৭টি উপ-নির্বাচনের মধ্যে ৩০ টিতেই জয়লাভ করার মধ্য দিয়ে।
ইমরান খান দাবি করেন, আদালতের রায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা কেউই ৯ মে-এর কোনো সহিংসতায় জড়িত ছিলেন না। এ সময় তিনি নিজেকেও নির্দোষ বলে দাবি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক