পরকীয়া প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তান গেছেন ভারতীয় নারী অঞ্জু। জানা গেছে ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লাহকে বিয়েও করেছেন। আপাতত তার সঙ্গেই সেদেশের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বসবাস করছেন। এরমধ্যেই ভারতীয় নারী অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে পাকিস্তান সরকার। সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে নাসরুল্লাহ নিজেই।
এদিকে, প্রেমের টানে পাকিস্তানে যাওয়া অঞ্জুর কারণে ভারতে কাজ হারিয়েছেন তার বাবা-ভাই ও স্বামী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি যুবককে বিয়ে করার পরই ভারতে থাকা অঞ্জুর পরিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েছেন। এরই মধ্যে কাজ হারিয়েছেন তার ভাই ও স্বামী। এমনকি, একঘরে করে দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে।
অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস ভারতের গোয়ালিয়রের বউনা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দর্জির কাজ করেন তিনি। সেখানে তার নিজের একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু অঞ্জু পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তার কাছে আর পোশাক তৈরি করতে দিচ্ছে না। তার দোকান প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
জানা যায়, দুটি আলাদা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন অঞ্জুর ভাই ডেভিড থমাস ও ভারতীয় স্বামী অরবিন্দ মীনা। সম্প্রতি তারা দুজনই চাকরি হারিয়েছেন। অঞ্জুর ভাই ডেভিডকে কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তার স্বামী অরবিন্দকে বলা হয়েছে, পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে। সবমিলিয়ে অঞ্জুর জন্য বেশ বেকায়দার পড়েছে তার পরিবার।
এর আগে, ২৩ জুলাই পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ বছর বয়সি নসরুল্লাহ মেডিকেলে কাজ করেন। ২০১৯ সালে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর তারা একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠেন। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। পরে নসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে পাড়ি জমান অঞ্জু।
এরপর ২৫ জুলাই পাকিস্তানি যুবক নসরুল্লাহ ও অঞ্জু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নারী বিয়ের আগে হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন। অঞ্জু থেকে নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতিমা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক