ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। টানা সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইহুদিবাদীদের এই নির্বিচার আগ্রাসনে ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
এরসঙ্গে অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এই অবস্থায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল নিশ্চিতভাবে উত্তর গাজায় ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছে বলে রবিবার জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। গাজার এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের হুমকি সবচেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, “আমাদের চোখের সামনে বিপর্যয়কর অবস্থা উদ্ঘাটিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে- তারা উত্তরে আর কোনও ইউএনআরডব্লিউএ-এর খাদ্যবাহী বহর প্রবেশ করার অনুমতি দেবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ আপত্তিজনক এবং একইসঙ্গে এটি মানব-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের সময় জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহে বাধা দেওয়ার ইচ্ছাকেই সামনে তুলে ধরছে।”
ইউএনআরডব্লিউএ’র যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলেছেন, রবিবার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে গাজার উত্তরে ত্রাণ সরবরাহের জন্য লিখিতভাবে দু’বার অস্বীকার করার পর এই কথা জানানো হল।
তবে এই ধরনের সিদ্ধান্তের কোনও কারণ জানানো হয়নি বলেও জানান তোমা।
এদিকে, গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নে সতর্ক করে বলা হয়, জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ না করা হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
আর ইউএনআরডব্লিউএ’র যোগাযোগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলছেন, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ইউএনআরডব্লিউএ গাজার উত্তরে খাদ্য সরবরাহ করতে পারেনি। তিনি বলেন, সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি হল কফিনে আরেকটি পেরেক। সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ