মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বুথফেরত জরিপের প্রথম দফার ফলাফল পাওয়া গেছে। এবার ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন ভোটাররা গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন। গণতন্ত্রের পরের অবস্থানেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা। খবর বিবিসির।
এই বুথফেরত যারা মতামত দিয়েছেন তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জানান, গণতন্ত্রই তাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয়। এরপর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলেছেন তারা। প্রতি ১০ জন ভোটারের মধ্যে তিনজন মার্কিন অর্থনীতির কথা বলেছেন। গণতন্ত্র ও অর্থনীতির পর গর্ভপাত ও অভিবাসনের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে পররাষ্ট্রনীতির কথা এসেছে সবার পরে।
অবশ্য ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের কাছে অর্থনীতি সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের কাছে এই ইস্যুকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন তারা। তবে এবারের হিসাবে এলো ভিন্ন চিত্র।
যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সংবাদ সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএস করেছে এই বুথফেরত জরিপ। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ শতাংশ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অর্থনীতিকে প্রধান বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোটার। এ ছাড়া গর্ভপাতকে ১৪ শতাংশ এবং অভিবাসনকে ১১ শতাংশ ভোটার গুরুত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে কম মাত্র ৪ শতাংশ ভোটার পররাষ্ট্রনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোট দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এখন তা শেষের পথে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ৫০টি অঙ্গরাজ্য এই ভোট হয়। এখনো কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ৪৩টি রাজ্যই রিপাবলিকান ও ডোমোক্রেটিক পার্টি—দুই দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তবে এবারের নির্বাচনের জয় পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে দোদুল্যমান বাকি সাত অঙ্গরাজ্য। সেখানে কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের আভাস আগেই দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ