সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সাথে যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়। বরং, তাদের উদ্দেশ্য সমস্যা সমাধানের দিকে। দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তিনি বলেন, আমি মনে করি না ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াবে। বরং, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে তিনি সংঘাতের পক্ষে নন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বহুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থামাতে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দীর্ঘদিনের। তবে, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল এককভাবে এমন পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সহায়তা অপরিহার্য।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ঝুঁকির পাশাপাশি উন্নয়নের বিরাট সুযোগও রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের ইতিবাচক উদ্যোগ যদি ইরানের পক্ষ থেকে সাড়া পায়, তবে আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।
তিনি আরও জানান, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এটি পুরো অঞ্চলের জন্য নতুন এক অধ্যায় হতে পারে।’
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অঞ্চল যেকোনো যুদ্ধ এড়াতে হবে। যুদ্ধের পরিবর্তে আমাদের সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
গাজার যুদ্ধবিরতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কমবে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আমরা একটি সহযোগিতামূলক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি। সৌদি আরব প্রস্তুত রয়েছে, এবং আমরা আশা করি ইরানও এ পথে এগিয়ে আসবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল