রাশিয়ার একজন শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেন থেকে ৮০০ বর্গকিলোমিটার (৩০৯ বর্গমাইল) এরও বেশি অঞ্চল ফিরিয়ে নিয়েছে। যা গত বছর অনুপ্রবেশ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের দখলকৃত মোট অঞ্চলের প্রায় ৬৪ শতাংশ।
জেনারেল স্টাফের প্রধান অপারেশনাল ডিরেক্টরেটের প্রধান কর্নেল জেনারেল সের্গেই রুদস্কয় ক্রাসনায়া জভেজদা সংবাদপত্রকে বলেছেন যে রাশিয়া সমস্ত দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনকে একটি প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাশিয়ার একটি বড় আক্রমণ উল্লেখযোগ্য অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে।
উদস্কয় বলেন, রাশিয়া এখন ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চলের ৭৫ শতাংশ এবং লুহানস্ক অঞ্চলের ৯৯ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, চারটি অঞ্চল এখন আইনত রাশিয়ার অংশ এবং এগুলি আর কখনও ইউক্রেনকে দেয়া হবে না।
রুদয়স্ক বলেন, গত বছরটি আমাদের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল। কিয়েভ শাসনব্যবস্থা আর যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে না। তিনি বলেছেন, শত্রুরা প্রয়োজনীয় অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ তৈরি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সাধারণত জোর করে একত্রিত করা হয়।
রুদস্কয় বলেন, সংঘাতের ভবিষ্যৎ আর ইউক্রেনের উপর নির্ভর করে না বরং পশ্চিমারা রাশিয়ার স্বার্থ বিবেচনা করে একটি নতুন ইউরোপীয় নিরাপত্তা স্থাপত্য তৈরি করতে রাজি হবে কিনা তার উপর নির্ভর করে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে। যাকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ সামরিক অভিযান বলে অভিহিত করেছেন।
রাশিয়া ক্রিমিয়াও নিয়ন্ত্রণ করছে। যা ২০১৪ সালে তারা নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের মাত্র এক-পঞ্চমাংশেরও কম নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল