শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

হোয়াইট হাউসের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান এফবিআইয়ের

হোয়াইট হাউসের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান এফবিআইয়ের

নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে নাকচ করতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (এফবিআই) অনুরোধ করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু হোয়াইট হাউসের এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গতকাল সিএনএনয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়, সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এফবিআইকে ওই অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসকে বিমুখ করেছে এফবিআই। তবে এফবিআইয়ের কাছে করা অনুরোধের বিষয়ে বৃহস্পতিবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে ট্রাম্পের সহযোগী ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে যেসব খবর এসেছে, তা সঠিক নয় বলে মনে করে এফবিআই। হোয়াইট হাউসকে এ ব্যাপারে তারা আভাস দেয়। এমন ইঙ্গিতের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ্যে নাকচ করতে এফবিআইকে অনুরোধ করা হয়। সূত্র জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে তদন্তকারী  গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হয়েছিল হোয়াইট হাউস। তারা চেয়েছিল, প্রতিবেদনগুলো ভুল বলে নাকচ করুক গোয়েন্দারা। তারা বলুক, রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সহযোগীদের কোনো যোগাযোগ হয়নি।

পরমাণু অস্ত্রের মজুদ আরও বাড়াতে চান ট্রাম্প : পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব নিয়ে কারো মনেই কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তারপরেও নাখোশ দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কথা  সক্ষমতার দিক থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে দেখতে চান। কারণ তিনি জেনেছেন তার দেশের চেয়ে রাশিয়ায় এই অস্ত্রের মজুদ বেশি। এ অবস্থায় তিনি পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াতে চান । বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প এও বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের পক্ষপাতি নন। তিনি এমন একটি বিশ্ব দেখতে চান, যেখানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ কথাও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমিই প্রথম, যে কিনা কারও কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকুক, তা চায় না। কিন্তু আমরা কোনো দেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে চাই না।  ট্রাম্প বলেন, ‘যদি কোনো দেশে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকত, তাহলে খুব চমৎকার হতো। কিন্তু যদি বিভিন্ন দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় নামে, তাহলে আমরা সবার ওপরে থাকতে চাই।’ পারমাণবিক শক্তিবিরোধী প্রতিষ্ঠান প্লগশেয়ারস ফান্ড বলছে, রাশিয়ার কাছে সাত হাজার পরমাণু অস্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬ হাজার ৮০০ পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অলাভজনক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাহী পরিচালক ডেরিয়েল কিমবল বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অস্ত্র রয়েছে। নিউ স্টার্ট নামে পরিচিত অস্ত্র সীমিত করার কৌশলবিষয়ক চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার সীমিত রাখতে হবে। সাক্ষাৎকারে এটিকে একপক্ষীয় চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এটি খারাপ চুক্তি। আমরা ভালো চুক্তি করার কাজ শুরু করেছি।’ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কী ঘটতে যাচ্ছে আমরা দেখব। তবে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। আমার মতে চীন খুব তাড়াতাড়িই এর সমাধান করতে পারে।’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে কোনো বৈঠক করবেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর