বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। পর্নো তারকা স্টর্মি ডেনিয়েলসের ঘটনার উত্তেজনা শেষ না হতেই এবার প্লেবয় মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। প্লেবয় মডেলের সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণসংবলিত অডিও নিয়ে টুইটারে প্রতিক্রিয়াও জানালেন ট্রাম্প। মডেল ম্যাকডোনালের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে পড়েন ট্রাম্প। অভিযোগ ওঠে, ওই মডেলের মুখ বন্ধ করতে তাকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করেছেন ট্রাম্প।
এফবিআই দাবি করছে, তারা ট্রাম্প ও তার আইনজীবীর এক কথোপকথনে এর প্রমাণ পেয়েছে। ট্রাম্প এফবিআইএর দাবি অস্বীকার করেননি। তবে তিনি ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে অচিন্তনীয় আখ্যা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আইনজীবী কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করার বিষয়টিকে সম্ভাব্য অবৈধ কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই অডিও ধারণে বৈধতা ক্ষুণ্ন্ন হয়নি।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়, প্লেবয় মডেলের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনার স্বত্ব কিনতে ওই মডেলকে দেড় লাখ ডলার পরিশোধ করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস খবর দেয়, চলতি বছরের গোড়ার দিকে এ ঘটনার প্রমাণস্বরূপ একটি অডিও হাতে পায় এফবিআই।
খবর প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এবিসি নিউজকে বলেন, প্রেসিডেন্ট বলেছেন ম্যাকডোগালের সঙ্গে কোনোদিনই তার সম্পর্ক ছিল না। শনিবারের টুইটার পোস্টে ওই মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। তবে অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট ভুল কিছু করেননি’।
এফবিআই-এর দাবি, মাস তিনেক আগে কোহেনের কার্যালয়ে তল্লাশির সময় ট্রাম্প-কোহেনের এ সংক্রান্ত গোপন টেপ তাদের হাতে আসে। ট্রাম্পের বর্তমান আইনজীবী এমন অডিওর অস্তিত্ব থাকার কথা স্বীকার করলেও ট্রাম্পকে নির্দোষ দাবি করছেন।
এপ্রিলে কোহেনের বাড়ি, অফিস আর হোটেল কক্ষ তল্লাশি করে এফবিআই ট্রাম্প-কোহেন অথবা তার অফিস কর্তৃক দাবিকৃত ‘বিশেষ যোগাযোগগত সুবিধা’র আওতাধীন ৪ হাজার ৮৫টি নথি এবং ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড জব্দ করে। আদালতের রায়ে এর মধ্যে ১৪৫২টি নথি বিশেষ সুবিধার আওতায় নয় রায় দিয়ে তা সরকারের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। প্লেবয় মডেলকে নিয়ে ট্রাম্প-কোহেনের অডিওটি সেই ১৪৫২ নথির একটি।