যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে হাজারেরও বেশি মানুষের খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। উত্তরাঞ্চলের ‘ক্যাম্প ফায়ার’ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার ভবন ধ্বংস হয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন যেকটি দাবানল সক্রিয় তার মধ্যে ‘ক্যাম্প ফায়ার’ই সবচেয়ে আগ্রাসী। এ আগুনে শুক্রবার এক দিনেই আটজনের মৃতদেহ মিলেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যাও বেড়েছে চারশর বেশি। নিখোঁজ অনেকে ভালো আছেন বলেই ধারণা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু আত্মীয়স্বজনরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়ায় নিখোঁজের তালিকায় নামগুলো রাখা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড এক লাখ ৪২ হাজার একর এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, যার মধ্যে আছে ২৭ হাজার মানুষের প্যারাডাইস শহরও। বিবিসি বলছে, ‘ক্যাম্প ফায়ার’ এরই মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষকে বাড়ি ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য করেছে। যাদের অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন জরুরি সেবাকেন্দ্রে, কারও স্থান হয়েছে পরিবারের অন্য সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে; বাকিরা নিরাপদ স্থানে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন। আগুনের ভয়াবহতা দেখতে ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার কথা ছিল বলে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল বিভাগ ‘ক্যাম্প ফায়ার’ অগ্নিকাণ্ডের ৪৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করছে। সম্পূর্ণ দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে এ মাস লেগে যেতে পারে বলেও অনুমান তাদের। সানফ্রান্সিসকোর কাছে কন্ট্রা কোস্টা কাউন্টির ‘মর্গান ফায়ার’, লস অ্যাঞ্জেলসের ভেনচুরা কাউন্টির কাছে ‘উলসি ফায়ার’ ও তুলনামূলক ছোট ‘হিল ফায়ার’ মোকাবিলায়ও দমকলকর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ‘উলসি ফায়ারে’ এরই মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। হতাহতদের দেহাবশেষ ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে ফরেনসিক দল ও কুকুরকে সহায়তা করছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। কর্মকর্তারা বলছেন, কীভাবে অগ্নিকাণ্ডগুলোর সূত্রপাত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তারা। পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যটির বেশ কয়েকজন নাগরিক এরই মধ্যে স্থানীয় একটি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগ, ওই কোম্পানির হাই-ভোল্টেজ সরবরাহ লাইন থেকেই ‘ক্যাম্প ফায়ারের’ উদ্ভব। তদন্ত কর্মকর্তারা অবশ্য এখনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। সাধারণত গ্রীষ্ম থেকে শরতের শুরু পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘দাবানল মৌসুম’ চলে। কম আর্দ্রতা, উষ্ণ বাতাস, বৃষ্টিহীন মাসের পর শুষ্ক মাটি দাবানলের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখন সারা বছরই এ ঝুঁকি থাকবে বলে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন। বিবিসি
শিরোনাম
- ইউক্রেনের আরও দুটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার
- জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
- চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
- মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
- বরিশালের তিন অসহায় নারীর স্বামীকে রিকশা বিতরণ
- নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- র্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর ছোড়া গুলি লাগলো গৃহবধূর বুকে
- রোহিঙ্গা ভোটার চিহ্নিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ ইসির
- প্রেষণে জনবল নিয়োগে বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
- ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকবে না : আমিনুল
- গণতন্ত্র উত্তরণের পথ হলো সফল জাতীয় নির্বাচন : মান্না
- ‘হিংসার রাজনীতি করে শেখ হাসিনা বগুড়ার উন্নয়ন করেনি’
- তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান সেলিমের
- একটি দল ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে: তৃপ্তি
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে : মোশাররফ
- কুমিল্লা বোর্ডে ফেল থেকে পাশ ১০৮ জন
- আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
- সোমবার সারা দেশে যানবাহন চলবে : পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
- ব্রিতে নবান্ন উৎসব উদযাপিত
ক্যালিফোর্নিয়ায় ভয়াবহ দাবানলে নিহত ৭১
হাজার ছাড়িয়েছে নিখোঁজের সংখ্যা
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর