বুধবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কিমকে ট্রাম্পের চিঠি

দুজনের সম্পর্কটা কখনো নরম কখনো গরম। এক সময় একে অপরকে ধ্বংসের হুমকি দিতেন। এখনো কখনো কখনো বলা হচ্ছে তাদের সম্পর্ক প্রেমিকের মতো। বলা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের কথা। এই দুই নেতার মধ্যে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠক হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য চেষ্টা চলছে। তবে এর মাঝে দুজনে দুজনকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের লেখা চিঠি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছে পৌঁছেছে। কোরীয় উপদ্বীপ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে চলমান আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। ওই সূত্র বলছে, দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের সমঝোতার বিস্তারিত নিয়ে এই  চিঠি। ওয়াশিংটন থেকে চিঠিটি হাতে হাতে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্রের মতে, উত্তর কোরিয়ার সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান কিম ইয়ং চোল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফর করবেন।

সম্ভবত এ সপ্তাহেই তা হতে যাচ্ছে। ট্রাম্প-কিম আসন্ন বৈঠকের বিস্তারিত বিষয় চূড়ান্ত করাই তার এই সফরের উদ্দেশ্য। এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠকের স্থান হিসেবে ব্যাংকক, হ্যানয় ও হাওয়াইয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে গত সপ্তাহেই নিজের সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিনি বলেন, সম্প্রতি এক চিঠিতে কিম শিগগিরই সিউল সফরের কথা তাকে জানিয়েছেন। তার ও ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হবে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ক্ষেত্রে বিরাট অগ্রগতি। বিশ্বের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে গত বছর ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে কমিউনিস্ট এই রাষ্ট্র। বেইজিং সফরের মধ্য দিয়ে আলোচনার পথে যাত্রা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। এরপর কিম ছয় দশকেরও বেশি সময়ের বৈরিতাকে পেছনে রেখে গত বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় ঐতিহাসিক সফর করেন।

গত সপ্তাহেই আকস্মিক সফরে চীনে যান কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি লেখার পর কিম এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে চিঠি পেলেন। এসব ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, এ বছরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবেন কিম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর