শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
শি আজ ইয়াঙ্গুন যাচ্ছেন

পাকিস্তানের পর মিয়ানমার নিয়ে মহাপরিকল্পনায় চীন

লগ্নি বিনিয়োগে অন্যরা যেখানে যেতে রাজি নয়, সেখানেই পা রাখতে প্রবল আগ্রহ চীনের। তার প্রমাণ পাকিস্তান। সেখানে সন্ত্রাসের জন্য কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না। কিন্তু চীন করেছে। পাকিস্তানের সব বড় অবকাঠামো এখন চীনের হাতে। আর পাকিস্তানের পর এবার মিয়ানমার নিয়ে মহাপরিকল্পনায় চীন। আজ দুই দিনের সফরে মিয়ানমার যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। শুধু সড়ক নয়, দ্রুতগামী ট্রেনের মাধ্যমে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ওই বন্দরকে জোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বেইজিংয়ের। ভারতীয় মিডিয়া বলছে, সামগ্রিকভাবে দেখলে মিয়ানমারে সবচেয়ে বড় বিদেশি লগ্নিকারী হিসেবে চীনের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করাই শি জিন পিং সফরের মূল লক্ষ্য। সফরে সু চি ও সেনাপ্রধান মিন আউং লেইং ও প্রেসিডেন্ট উ উইন মিয়িন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এমনিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের যে সম্পর্ক মধুর তা নয়। চীনা লগ্নিতে যে ঋণের ফাঁদে দেশ বিকিয়ে যেতে পারে, সে আশঙ্কা রয়েছে মিয়ানমারেরও। তাদের বিদেশি ঋণ যত, তার ৪০ শতাংশই চীনের কাছে। কিয়াউকফিউ বন্দরের উন্নতি ঘটাতে চীন ৭২০ কোটি ডলার ঢালতে চেয়েছিল। কিন্তু দেনার দায়ে বিকিয়ে যাওয়ার ভয়েই তা ১৩০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছে সু চির দেশ। বিপদের কথা ভালোভাবে জানে পাকিস্তানও। তারপরেও পাকিস্তানের গদর বন্দরে লগ্নি করে ও চীন-পাকিস্তান আর্থিক করিডোর গড়ে তুলে পশ্চিমে আরব সাগর পর্যন্ত নিজেদের বাণিজ্যপথ অবাধ করতে চায় চীন। মিয়ানমারের ক্ষেত্রেও চীনের কৌশল একই। রোহিঙ্গা প্রশ্নে তারা পাশে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের। চীন চাচ্ছে মিয়ানমারে সড়ক ও রেলপথ গড়ে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বাণিজ্যপথের বিস্তার ঘটানো। বিশ্বের বিশাল অংশ জুড়ে চীনের সামরিক দাপটও বাড়বে যার মাধ্যমে। আনন্দবাজার পত্রিকা।

সর্বশেষ খবর