শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সংক্ষেপে

এক মাসের শিশুর করোনা জয়

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও বয়স্কদের করোনায় মৃত্যুর হার বেশি- এমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার যত বেড়েছে তাতে নতুন তথ্য-উপাত্ত বলছে, সবারই করোনা মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। অবশ্য করোনাকে হারিয়ে দেওয়ার হিসাবটাও আশা জাগায়। সম্প্রকি থাইল্যান্ডে এক মাস বয়সী এক শিশুর করোনামুক্তির খবর মিলেছে। শিশুটির করোনা ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা শঙ্কিত ছিলেন। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশাল মুলাসারত ওই নবজাতকের চিকিৎসা করেছেন।

রাজধানী ব্যাংককের বামরাসনারাদুরা সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের এই চিকিৎসক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত ওই শিশুটির জন্য তিনি চারটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যবহার করেন।

 

ভারতে মৃত্যু ৬৮১

ভারতে নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশটিতে সর্বমোট আক্রান্ত হয়ে দাঁড়ায় ২১,৩৯৩ জন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গতকাল করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও ১,৪০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

 

সিঙ্গাপুরে আরও ১০৩৭ রোগী

সিঙ্গাপুরে গতকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৩৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সর্বশেষ খবর পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১৭৮। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন করে আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন ডরমিটরিতে বসবাসরত অভিবাসী শ্রমিক। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১২ জন। তবে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৯৬ জন। এদিকে, ভাইরাস প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে দেশজুড়ে জারি লকডাউনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। এর ফলে লকডাউন আগামী ১ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে।

 

জাপানে আক্রান্ত ১২ হাজার ছাড়াল

জাপানে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গতকালের তথ্যানুসারে, বুধবার সেখানে আরও ৪২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া এদিন আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২,৬৩১। আর সর্বমোট প্রাণহানি ৩০০। করোনার বিস্তার ঠেকাতে চলতি মাসের ৭ তারিখে দেশটির রাজধানী টোকিওসহ সাতটি শহুরে এলাকায় ১ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তবে সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় গত সপ্তাহে সরকারি একটি বিশেষজ্ঞ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে দেশটিতে ৪ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

হকিংয়ের ভেন্টিলেটর দান

দুনিয়াকাঁপানো বিজ্ঞানী ও গণিতবিশারদ স্টিফেন হকিংয়ের ব্যবহৃত ভেন্টিলেটরটি তার পরিবার একটি হাসপাতালে দান করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে হকিংয়ের পরিবার। খবর আল-জাজিরার ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ শহরে জীবনের দীর্ঘসময় কাটিয়েছেন হকিং। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। এই শহরের রয়াল পাপওর্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন তিনি। সেই হাসপাতালেই ভেন্টিলেটরটি দান করে দিয়েছে হকিংয়ের পরিবার। বুধবার হাসপাতালটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমন অবস্থায় তাদের চিকিৎসার জন্য হকিংয়ের পরিবার ভেন্টিলেটরটি হাসপাতালে দান করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর