বিশ্বে দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে সাত লাখ মানুষের। এ অবস্থায় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু)’র প্রধান তেদরোস আদানম গেব্রিয়াসিস শোনালেন আশার কথা। বললেন, ‘শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ব। আর যে কোনো সময় এর বিরুদ্ধে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ করোনা থেকে বাঁচতে প্যারিস বা ব্রাজিলের কোপাকাবানার মতো পর্যটনস্থলেও মাস্ক পরে ঘুরছেন সবাই। এই পরিস্থিতিতে যত কষ্টই হোক না কেন, হাল না ছাড়ার কথাই বলেছেন হু-প্রধান। রুয়ান্ডা বা নিউজিল্যান্ড যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে তার উদাহরণ দিয়েছেন তেদরোস। সোমবারই নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, করোনামুক্ত পর্যটনস্থল হিসেবে কুকু আইল্যান্ড খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। তবে মঙ্গলবার ফের সংক্রমণের খবর মিলেছে নিউজিল্যান্ডে।

করোনায় হতাশা ও উদ্বেগের শিকার বিশ্বের অর্ধেক তরুণ-তরুণী : মহামারী করোনাভাইরাস একদিকে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, অন্য দিকে আক্রান্ত করছে মনকেও। করোনার সময়ে বিশ্বের অর্ধেক তরুণ-তরুণী উদ্বেগ ও হতাশায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক জরিপে উঠে এসেছে। তাই তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘের শ্রম সংস্থা-আইএলও। খবর এনডিটিভির।

আইএলওর মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, ‘কভিড-১৯ মহামারী জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করেছে। তরুণ প্রজন্মের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে যদি জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তবে তরুণ প্রজন্মের ওপর ভয়ানক ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।’ আইএলওর জরিপের লক্ষ্য ছিল, মহামারীর প্রাদুর্ভাবে যুব সমাজ বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছে, সেই বিষয়টি তুলে আনা। বিশ্বের ১১২টি দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীর মধ্যে করোনাকালীন তাদের চাকরি, শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য ও সামাজিক কর্মকা-ের বিষয়ে এ জরিপ চালানো হয়।

জরিপে আরও দেখা যায়, ৩৮ শতাংশ তরুণ তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত। কিছু তরুণ এরই মধ্যে করোনায় বেকারত্বের শিকার হয়েছে।   তরুণদের প্রতি ছয়জনে একজন করোনার কারণে কাজ হারান। যারা একই সঙ্গে কর্ম ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত, এমন ৭৩ শতাংশ তরুণের শিক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা অনলাইন বা দূরমাধ্যম শিক্ষণ চালিয়ে নিতে পারেননি।