সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতে তুষারধসে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে তুষারধসে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

ভারতের উত্তরাখন্ডে ভয়াবহ তুষারধসের ঘটনায় প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল সকালে হঠাৎ করে পাহাড়ে জমে থাকা বিশাল আকারের তুষার খন্ড নিচের ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর ভেঙে পড়ে। এই কেন্দ্রে এ সময় দেড় শতাধিক মানুষ ছিলেন। ভেঙে পড়া তুষার আরও নিচে দুটি নদীতে পড়ায় সেখানে প্রবল স্রোত বয়ে যেতে থাকে। দিনভর সেই স্রোতে বহু ঘরবাড়ি ভেসে যায়। সূত্র : এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়, তুষারধসের ফলে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎকেন্দ্রে থাকা দেড় শতাধিক কর্মীর সবাই ভেসে গেছেন। তারা সবাই মারা যেতে পারেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ধোলিগঙ্গা নদীর পানির স্তর হু হু করে বাড়তে শুরু করে। তীব্র পানির স্রোতে একের পর এক গ্রাম ভেসে যায়। বিকাল পর্যন্ত মাত্র ১০টি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছিল।

প্রশাসন দেড়শ থেকে তারও বেশি মানুষের মৃত্যুর  আশঙ্কা করছে। ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তরাখন্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, অনেকেই পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে  থাকতে পারেন। তাদের ভাগ্যে আসলেই কী ঘটেছে তা অনিশ্চিত। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত নয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কাউকে সতর্ক করার সময়ও পাওয়া যায়নি। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ধারণা  নেই যে কতজন নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকার একটি ভিডিওতে  দেখা গেছে, তুষারধসের কারণে বাঁধ ভেঙে নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীত্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় এজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তার সঙ্গে উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।

সর্বশেষ খবর