রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

যুক্তরাজ্যে দেখা দিতে পারে ‘খাদ্য সংকট’

করোনা মহামারী এবং ব্রেক্সিটের কারণে পণ্যবাহী ভারী যান চালকের সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে আরও ১ লাখের বেশি লরি চালক প্রয়োজন। দ্রুত এ সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে গ্রীষ্মে দেশটিতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এ ক্ষেত্রের নেতারা।

গত ২৩ জুন তারা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পাঠিয়েছেন। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনসনের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যেন ইউরোপের শ্রমিকদের হেভি গুডস ভিয়াকেল (এইচজিভি) চালকের অস্থায়ী ‘ওয়ার্ক পারমিট’ দিয়ে তাদের যুক্তরাজ্য যাওয়ার অনুমতি দেন। তারা সতর্ক করে আরও বলেন, যুক্তরাজ্যের সংবেদনশীল খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ‘অভূতপূর্ব এবং অকল্পনীয় মাত্রায় পতনের’ ঝুঁকিতে রয়েছে। সরকারের সাহায্য ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তারা বলেন, ‘সুপার মার্কেটগুলো থেকে এরই মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য সরবরাহ না পাওয়ার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

 যার ফলে যথেষ্ট অপচয়ও হচ্ছে।’

সামনে গ্রীষ্মের ছুটি, ধিরে ধিরে কভিড মহামারীর নানা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে, গরম আবহাওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে খাদ্য ও পানীয় চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে এবং খেলাধূলার বিভিন্ন বড় বড় আয়োজন আবারও মাঠে গড়াতে শুরু করায় খাদ্য চাহিদা বাড়বে। ফলে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংকট আরও তীব্র হবে বলেও সতর্ক করেন তারা। এ ছাড়া, বড়দিন উপলক্ষে অগাস্ট/সেপ্টেম্বর মাসের দিকে যুক্তরাজ্যের বিক্রেতারা তাদের যে পসার সাজিয়ে বসেন সেটার ওপরও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়।

ওই চিঠির জবাবে সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, তারা এইচজিভি চালক সংকটের বিষয়ে শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং নতুন নিয়োগ এবং পুরনোদের ধরে রাখার বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করবেন।

তিনি বলেন, ‘শিল্পের মধ্যে থেকে বাণিজ্যিকভাবে বেশির ভাগ সমাধান খুঁজে বের করা হবে। এরই মধ্যে চালকদের পরীক্ষা এবং ভাড়া করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু হয়ে গেছে। বেতন বাড়ানো, কাজের পরিবেশের উন্নতি এবং বৈচিত্র্যের দিকগুলোও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। ‘তবে আমাদের নতুন অভিবাসন ব্যবস্থায় একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার করে বলা আছে। সেটা হলো, নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই আমাদের নিজস্ব কর্মীবাহিনীকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশ থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর নির্ভর না করে বরং বিশেষ করে দেশে যারা নতুন এবং কাজ খুঁজছেন তাদের নিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর