বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শতাধিক নিরাপত্তা সদস্যকে হত্যা করেছে তালেবান

আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর  থেকে তাদের হাতে দেশটির তৎকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য নিহত বা গুম হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন প্রতিবেদনে দেশটি চারটি প্রদেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটি দখলের পর তালেবান নেতারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আফগানিস্তানের তৎকালীন পুলিশ ও সেনাদের লক্ষ্যবস্তুুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্থানীয় কমান্ডারদের বাঁধা দেননি। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, আফগান পুলিশ ও সেনাদের হত্যার ক্ষেত্রে স্থানীয় কমান্ডারদের এমন কর্মকান্ড মেনে নিয়েছেন ও অনুমোদন দিয়েছেন তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর এ কাজ ইচ্ছাকৃত। যদিও তালেবানের এক মুখপাত্র এমন প্রতিশোধমূলত কর্মকান্ডের কথা অস্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যায়। এর আগে  দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। কাবুল দখলের পর তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, যাঁরা সরকারের পুলিশ,  সেনাবাহিনী কিংবা বিভিন্ন প্রদেশেও কাজ করেছেন, তাঁরা তালেবান সরকারের আমলে নিরাপদে থাকবেন। যদিও এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর থেকেই তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ, দেশটির সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার রেকর্ড রয়েছে তালেবানের। বিশেষ করে ২০২০ সালের শুরু থেকে চলতি বছর ক্ষমতা দখলের আগপর্যন্ত প্রায় ১৮ মাসে বেশকিছু নৃশংস হামলা চালায় তালেবান। এসব হামলার ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিচারক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীও। এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, গজনি, হেলমান্দ, কুন্দজ ও কান্দাহার প্রদেশে একশ’র  বেশি মানুষকে খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছে তালেবান। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পরই এসব হত্যাকান্ড চালিয়েছে। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর