ইসরায়েল বহুদিন ধরেই ইরানকে উসকানি দিয়ে আসছে। অবশেষে ইসরায়েলের মাটিতে হামলা চালাল ইরান। তবে অস্ত্র বিশারদরা বলছেন, ইরান তার শক্তির সামান্যই দেখিয়েছে । নানা প্রতিকূলতার মধ্যেই ইরান তার অস্ত্র ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে চলছে। ‘খেইবার শেকান’ ও ‘সেজ্জিল’ ইরানের সামরিক ভান্ডারের দুই শক্তিশালী হাতিয়ার। ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটার বেগে হামলা করতে পারে খেইবার শেকান। যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো দিকে লক্ষ্য ঘোরানো যায় এর। আর সেজ্জিল ঘণ্টায় সাড়ে ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সর্বাধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার।
ইরানের সামরিক অস্ত্র ভান্ডারে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রয়েছে সেগুলো কতটা শক্তিশালী? পাল্লাই বা কত? বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের অন্যতম সদস্য ‘শাহাব-৩’। এটি মাঝারি পাল্লার। উত্তর কোরিয়ার ‘নোডোং-১’ ক্ষেপণাস্ত্রের অনুকরণে তৈরি।
এ ক্ষেপণাস্ত্র ১ হাজার থেকে সর্বাধিক ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ‘ক্লাস্টার মিউনিশন’ পদ্ধতি যোগ করা হয়েছে। ফলে একসঙ্গে পাঁচ জায়গায় হামলা চালাতে পারে ‘শাহাব-৩’।
ইরানের আরও একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হল ‘গদর’। ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এ ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় রয়েছে ‘এমাদ’। এটি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। ২০১৬ থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইরান। আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র হলো ‘খোররমশহর’। ২০ টনের এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ঘণ্টায় ৯ হাজার ৮৭৮ থেকে ১৭ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার বেগে লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে। অর্থাৎ পাকিস্তানের যে কোনো জায়গাকে কয়েক সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।