ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। ইয়েমেনের তিন বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশটির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আল মাসিরাহে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন, আশদোদ সমুদ্রবন্দর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনের একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন (হাইপারসনিক) ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ ইসরায়েলের এইলাদ বন্দরকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছে ৮টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন।
ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ঠিকমতো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে দাবি করে ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে এবং ইসরায়েলি ইন্টারসেপ্টর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলো ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ গতকাল ভোরের দিকে ইয়েমেনের হুদায়দাহ, রাস ইসা, ও সাইফ বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’- নামের একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো হয়েছে এ হামলা।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর হামাস এবং সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিস্ফোরক রকেট হামলা শুরু করে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিরা।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লোহিত সাগরে শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতি গোষ্ঠী। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত দুটি জাহাজ ডুবেছে এবং নিহত হয়েছেন চারজন ক্রু। -আনাদোলু এজেন্সি।