আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অন্যান্য বারের মতো এবারও অন্যতম আকর্ষণ পদ্মাপারের বাংলাদেশকে ঘিরে। বইমেলা প্রাঙ্গণের একেবারে মাঝখানেই প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট জুড়ে এই প্যাভিলিয়নের আকর্ষণের মাত্রা এবার অনেকটাই বেড়েছে। বাংলাদেশে থিম মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে কার্জন হলের আদলে।
মোট ২৭টি স্টল আছে এই প্যাভিলিয়নে। এর মধ্যে ৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলা অ্যাকাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের পাশাপাশি আছে বেসরকারি প্রকাশনী সংস্থা সময় প্রকাশন, মাওলা ব্রাদার্সের মতো নামী সংস্থাগুলোও।
প্যাভিলিয়নে ঢুকলেই চোখে পড়লো আনিসুল হক, প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ, আনিসুজ্জামানসহ বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও বিশিষ্ট কবিদের টানে বইপ্রেমীদের লম্বা লাইন। হাতে হাতে ঘুরছে 'আমি বিজয় দেখেছি', 'মিসির আলি সমগ্র', 'বঙ্গবন্ধুর জীবন কথা', 'হে জ্যোতির্ময়'সহ সেরা বইগুলো।
এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামের বিশ্বকোষসহ ধর্মগ্রন্থগুলোরও বেশ চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের মাঝে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবার রহমানেও মজেছে বইমেলা। হাতে হাতে ঘুরছে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা।
প্রতিটি স্টলেই উপচে পড়া ভিড়। দম ফেলার ফুরসত নেই ঢাকার প্রকাশকদের। চতুর্থ দিনেই যা ভিড় দেখা গেছে তাতে ঢাকার প্রকাশকরা অত্যন্ত খুশি। যত দিন যাবে এই ভিড় যে বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় উদযাপিত হবে 'বাংলাদেশ দিবস'। এদিন বইমেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত এসবিআই অডিটোরিয়ামে 'সভ্যতার জন্য গ্রন্থ, গ্রন্থের জন্য সভ্যতা' শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব ড. রণজিত কুমার বিশ্বাস।
এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশের শিক্ষা সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, শামসুজ্জামান খানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি মিলন মেলা প্রাঙ্গণে ৩৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেন পেরুর বিশিষ্ট লেখক ফ্রান্সিসকা ডেনেগ্রি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পরদিন এই মেলা সর্বসাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
