ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে তৃণমূলনেত্রীর কার্যত উল্টো সুর তাঁরই দলের সাংসদ মুনমুন সেনের মুখে। দেশজুড়ে একের পর এক অসহিষ্ণুতা ও হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একাধিকবার কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর দলের মন্ত্রীরাও সরব। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেন এখনই অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে মোদি বিরোধিতায় নামতে নারাজ। উল্টে তাঁর মুখে নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে প্রশংসা।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমি মনে করি সুযোগ দেওয়া উচিত। ভাল কাজ করছেন। নিজের পার্টিই ওকে সুযোগ দিচ্ছে না। ৫ বছর দেখি। তারপর ওনার বিরোধিতায় যাব।
বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকারে আসার পর থেকেই দেশে অসহিষ্ণুতার স্রোত বইছে। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ মুনমুন এমনটা মনে করেন না। তাঁর মতে, অসহিষ্ণুতা আগেও ছিল। বলেন, অসহিষ্ণুতা চিরকালই হয়েছে। এখন ক্যামেরা বেশি। তাই প্রচারও বেশি। প্রতিবাদীরা একজোট হতে পারছে কারণ কম্পিউটার, ওয়েবসাইট এসেছে।
সাম্প্রতিককালে অসহিষ্ণুতা-সহ একাধিক ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আবার, সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের হঠাৎ জামিনের নেপথ্যে মোদি-মমতার আঁতাত দেখছে বিরোধীরা।
এই প্রেক্ষাপটে, মঙ্গলবার কলকাতায় যে ভাবে দলনেত্রীর উল্টো পথে হেঁটে মোদির পাশে দাঁড়ালেন বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেন, তা নতুন বিতর্ক উস্কে দিল বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। অনেকের আবার প্রশ্ন, মুনমুন সেনের এমন মন্তব্যের পিছনে কি বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে না কি নিছকই মনের কথা মুখ ফুটে বলে ফেলেছেন? এর জন্য আবার তাঁকে কালীঘাটের কোপে পড়তে হবে না তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলেও।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব