শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেও আপাতত গৃহবন্দী থাকতে হবে সারদাকাণ্ডে অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন ও ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্রকে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও মির দারা সিকোর ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়ার ৩২৪ দিন পরে গত ৩১ অক্টোবর আলিপুর কারাগার থেকে জামিন পাওয়ার পরদিনই অসুস্থ হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি আছেন মদন বাবু। সেখান থেকে ভবানীপুরের বাসায় গেলে চব্বিশ ঘণ্টাই তাঁর পাহারায় রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। চিকিৎসার প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলেও সেক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে তাঁকে।
গত সপ্তাহে জামিন পাওয়ার দিন তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আলিপুর আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেস ডায়েরি জমা না দেওয়ার কারণে খুব সহজেই জামিন পেয়ে যান পশ্চিমবঙ্গের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। এরপরই সিবিআই ওই জামিনের বিরোধীতা করে গত ৩ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি আদালতে ওঠে। সিবিআই'র তরফে আদালতে বলা হয়, নিম্ন আদালত মদন মিত্রকে জামিন দিয়েছে। তিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাঁকে জামিন দিলে মামলা প্রভাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে মদন মিত্রের আইনজীবী জানান, গত একবছর ধরে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তাঁর জবানবন্দীও রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরেও তাঁকে বন্দি রাখার কোন যুক্তি নেই। সব শুনে ডিভিশন বেঞ্চ মদন মিত্রকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। ততদিন পর্যন্ত পুলিশি নজরদারিতেই থাকতে হবে মন্ত্রীকে। সেক্ষেত্রে ১৯৪১ সালে ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজী সুভাস চন্দ্রের পর তিনি হলেন এ রাজ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তি যাঁকে গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হল।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর ২০১৫/এস আহমেদ