পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার হাওড়া জেলা প্রশাসনও মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট দেওয়া শুরু করেছে। হাওড়া জেলায় বাইক দুর্ঘটনা এড়াতেই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ। মঙ্গলবারও বাইক আরোহীদের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে হেলমেট বিলি করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন।
এদিন প্রায় ২০০ জন বাইক আরোহীর হাতে হেলমেট তুলে দেন হাওড়ার জেলা প্রশাসক শুভাঞ্জন দাস ও পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাওড়ার সর্বত্রই এখন নিরাপত্তা সচেতনতা শিবির তৈরী হচ্ছে। সেই হিসেবে এদিন উলুবেড়িয়া থানা ও ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে সড়কে নিরাপত্তা সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। এই শিবিরেই প্রশাসনের কর্তারা বাইক আরোহীদের সচেতন করার পাশাপাশি তাদের হেলমেট বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দর আজিজ সফি, উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এদিন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন জানান, গত ৮ জুলাই নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ'র যে কথা বলেছিলেন তাকে গুরুত্ব দিতেই জেলা প্রশাসন গ্রামীণ এলাকায় হেলমেট বিলি শুরু করেছে। প্রতিটি থানা এলাকাতেই পর্যায়ক্রমে এই হেলমেট বিলি করা হবে। তিনি বলেন, হাওড়ায় জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কগুলিতে সিভিক পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হোমগার্ডদেরও বাইক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপারের কথায়, জাতীয় সড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই বাইক দুর্ঘটনা। আর হেলমেট ছাড়া চলার জন্যই এই বাইক দুর্ঘটনা ঘটছে। বাইক আরোহীদের যাতে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলা যায় সে কারণেই অন্য থানা এলাকাতে পর্যায়ক্রমে হেলমেট বিলি হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে গুরুত্ব দিয়েই 'সাবধানে বাইক চালাও, জীবন বাঁচাও' কার্যকর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাওড়ায় প্রতি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ২০ জন মারা যান।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/৩ আগষ্ট ২০১৬/হিমেল-১৩