চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠেছে ভারতের এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার কুপার্স পুরসভার কাউন্সিলরের স্বামী সমীর দে এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে তাকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
একসময় ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে পড়াতেন এক মাস্টার্স পাশ যুবতী। বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে সমীরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কুপার্স পুরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করেন সমীর। যুবতী জানিয়েছেন, আলাপ-পরিচয়ের পর তিনি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর টানা তিন বছর ধরে সহবাস করেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। কাউন্সিলরের স্বামী জোর করে বারবার সহবাস করেছেন বলে দাবি করেছেন যুবতী। কুপার্স পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে-র স্বামী হিসাবে তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান। এদিন একটি পুজার অনুষ্ঠানে অকারণে কাউন্সিলর ওই যুবতীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, মনসা পুজা উপলক্ষে দুই মহিলা পুজা দিতে গিয়েছিল। সেখানেই মারধরের ঘটনা ঘটে। যুবতী জানিয়েছেন, “পুজো দিতে গিয়েছিলাম। কাউন্সিলর হঠাৎ আমার দিকে তেলের বোতল ছুড়ে দেন। আমি প্রতিবাদ করি। আরও কয়েকজন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন কাউন্সিলর।” এদিকে এ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওই যুবতীর অভিযোগ অস্বীকার করে সমীর দে বলেন, “মেয়েটির সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক ছিল না। চাকরির কোন প্রতিশ্রুতি দেইনি।”
কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু মারধরের ঘটনা ঘটেনি।” পুরসভার কর্মী সমীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।”
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/১৯ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৯