পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অগ্নিকান্ডের জেরে দুই জন নিহত হয়েছেন। নিহত দুইজন হাসপাতালের আয়ার কাজ করতেন। তারা হলেন: মামনি সরকার ও পূর্ণিমা সরকার। বিষাক্ত ধোঁয়ায় তাদের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছে কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন রোগী ও হাসতপালের কর্মী।
মুর্শিদাবাদ জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শুভাশিস সাহা জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালের দোতালায় মেডিকেল কেবিনের ভিআইপি কেবিনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) মেশিন থেকেই এই আগুন লাগে। এরপর হুড়োহুড়িতেই পদদলিত হয়ে দুই সহায়িকার মৃত্যু হয়েছে’। তিনি আরও জানান, ‘আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি এসেছে। ঘটনা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে’।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরের দিকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেশিনে আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যে সম্পূর্ণ হাসপাতাল ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় হাসপাতালের রোগী থেকে শুরু করে কর্মী, নার্স, চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে। অনেকে হাসপাতালের জানালা থেকেই নিচে ঝাঁপ দেন। অসুস্থ শিশুদের কোলে নিয়ে মায়েরাও প্রাণ হাতে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। হাতে স্যালাইনের বোতল নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যায় অনেক মুমূর্ষু রোগীদের।
আগুন লাগার খবর পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে হাত লাগায়। পরে হাসপাতালে ছুটে আসে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। তাদের সাহায্যে ওপর থেকে নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হয় রোগীদের। কিন্তু সরু সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে আনার সময় শিশুসহ অনেক রোগী আহত হয়েছে। জানালার কাঁচ ভেঙেও একাধিক রোগীকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। হাসপাতালে ওঠা-নামার একটি মাত্র সিঁড়ি থাকায় গাছ দিয়ে তিনতলায় অবস্থিত শিশুদের ওয়ার্ডে ঢুকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। আহতদের উদ্ধারের পর তাদেরকে খোলা জায়গায় নিয়ে শুইয়ে রাখা হয়।
ঘটনার তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনা খতিয়ে দেখতে কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ