বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এক নারীর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার নওদার চন্দনপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩২ বছরের ওই বিবাহিতা নারীর পাশেরই এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই যুবকের সঙ্গেই পালিয়ে যায় ওই নারী। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামে নিয়ে আসে। এই ঘটনার বিচার করতেই গ্রামে বসেছিল সালিশ। সভায় ওই নারীকে দোষী বলে সাব্যস্ত করা হয়। এরপর গ্রামে থাকতে গেলে অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার স্বামীর জরিমানার কথা বলা হয়। সেক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ হাজার রুপি। কিন্তু কৃষক পরিবারের পক্ষে অত রুপি জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। মাত্র এক হাজার রুপি জোগার করে সালিশি সভার কাছে আর্জি জানান, তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। যদিও তাদের সেই আর্জিতে কর্ণপাত করেনি সভার মাতব্বররা। উল্টে বলা হয় পুরো রুপি না দিলে শাস্তি হিসাবে অভিযুক্ত নারীর মাথার চুল কেটে নেওয়া হবে।
এরপর রবিবার ফের সালিশি সভা বসে। সেখানেই সকলের সামনে অভিযুক্ত স্ত্রীর মাথার চুল কেটে নিতে বলা হয় তার স্বামীকে। প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেও তার সেই প্রতিবাদ ঢোপে টেকেনি। কিছুটা বাধ্য হয়েই নিজের স্ত্রীর চুল কেটে নিতে হয় স্বামীকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন ‘অভিযুক্ত নারী রুপি দিতে না পারায় সালিশি সভার কয়েকজন সদস্য গত রবিবার রাতে তার বাসায় চড়াও হয়। এবং ওই নারীকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়। তারা বলে রুপি দিতে না পারার শাস্তি হিসাবে তার মাথার চুল কেটে নেওয়া হবে। সেসময় তার স্বামী মিজারুল শেখ ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় এবং তার স্ত্রীর মাথার চুল কাটতে বাধ্য করা হয়’।
এই ঘটনার পরই স্থানীয় নওদা থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন ‘চুল কাটার ঘটনায় ইমদাদুল শেখ ও লিটন শেখ নামে দুই অভিযুক্তকে আটক করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব