সাত সকালে আকাশ থেকে খসে পড়ল নীল রঙের আস্ত একটা বরফের চাঁই। আর তা দেখেই গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শাসনের পাকদহ গ্রামে। সকাল তখন প্রায় সাড়ে আটটা, পাকদহ গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বাড়ির উঠানে আছড়ে পড়ে নীল রঙের বিশাল আকারের বরফের চাঁই। ওজনে সেটি ছিল প্রায় পাঁচ কেজির কাছাকাছি। শব্দ শুনেই বাইরে এসে বরফের চাঁই দেখে হতবাক শফিকুল। প্রথমে নিজেই সেটাকে নাড়াচাড়া করেন, এরপর বাড়ির অন্যান্যরাও বাইরে বেরিয়ে আসেন। মুহূর্তের মধ্যেই আকাশ থেকে বরফ পড়ার খবর ছড়িয়ে যায় গ্রামে। আর বরফ দেখতে শফিকুলের বাড়িতে তখন ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পাঠানো হয় স্থানীয় শাসন থানাতেও। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পুলিশের একটি দল শফিকুল ইসলামের বাড়িতে আসে।
শাসন থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জ (আইসি) নাসিম আখতার জানান, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা একটি নীল বরফের চাঁই দেখতে পাই যদিও সেটি গলে আয়তনে অনেকটা ছোট হয়ে যায়। বরফের কিছু অংশ উদ্ধার করে তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যদিও বরফটি সত্যিই আকাশ থেকে পড়েছে কি না তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছেন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদুল আলী জানান, আজ সকালে ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ গ্রামে একটি বরফের চাঁই পড়ে। এরপরই বাড়ির মালিক বাইরে বেরিয়ে দেখে নীল রঙের বরফের চাঁই পড়েছে। পরে আশপাশের মানুষদের বিষয়টি জানান। স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই বরফটিকে দেখতে সেখানে আসে। পরে পুলিশ এসে সেটিকে থানায় নিয়ে যায়। আমার জীবনে এরকম আকাশ থেকে বরফ পড়ার কোন ঘটনা শুনিনি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কখনও কখনও বিমানের শৌচাগারের জমে থাকা মল-মূত্র বরফীকৃত অবস্থায় খোলা জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। এই ধরনের ঘটনাকে সাধারণত ‘ব্লু-আইস’ বলা হয়ে থাকে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এরকমই এক বরফের চাঁইয়ের আঘাতে আহত হন উত্তরপ্রদেশের আমকোহ গ্রামের বাসিন্দা রাজরানি গৌড় (৬০)।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ