দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের বাসিন্দা শ্যামলী হালদারের স্বামী সঞ্জয় হালদার মারা যান তিন বছর আগে। এরপর শ্যামলী সোনারপুরের নরেন্দ্রপুরে চলে যান। সেখান থেকে দিল্লির একটি পতিতাপল্লিতে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে বিক্রি করে দেন তিনি। বিনিময়ে পান নয় লাখ টাকা। তবে এক বছরের মাথায় মেয়েকে বিক্রির অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে।
প্রায় এক বছর আগে মেয়েকে বিক্রি করে দেন শ্যামলী। সম্প্রতি এক যুবকের সাহায্যে মেয়েটি পতিতাপল্লী থেকে পালিয়ে আসে। মেয়ের জবানবন্দীর মাধ্যমেই শ্যামলীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী জানায়, পতিতাপল্লিতে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে তার সঙ্গেই সে দিল্লি থেকে পালিয়ে আসে। বছরখানেক আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাজে পাঠানো হয় তাকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাকে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মা শ্যামলী হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। পরে তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে শ্যামলী কিছু বলেননি। পুলিশ ওই কিশোরীকে পূনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছে। মেয়েটির দাদী সবিতা হালদার জানান, এক বছর ধরে নাতনির কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর পাননি ছেলে বউয়ের কাছ থেকে।
বিডি প্রতিদিন/১৪ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা