ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর শহরের বাসিন্দা মধুমিতা দেবী। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার খাবার থেকে একটি বাদাম তুলে মুখে দেয় দু'বছরের সন্তান দেবরাজ। সঙ্গে সঙ্গেই মধুমিতা বাদামটি বের করার অনেক চেষ্টা করেন।
ছেলে কাঁদছে না দেখে ভেবে নেন, বাদাম পেটে চলে গিয়েছে। রাত থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় দেবরাজের। রাতেই স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সপ্তাহখানেকের জন্য সর্দির চিকিৎসা শুরু হয়।
শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না দেখে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেবরাজকে ভর্তি করানো হয়। কিছুদিন ভর্তি থাকার পর হাসপাতাল থেকে বলা হয়, দেবরাজ সুস্থ হয়ে গিয়েছে। এরপরে তারা দেবরাজকে বাড়ি নিয়ে চলে আসেন।
কিন্তু কয়েকদিন পরেই খিঁচুনি শুরু হয়। গত বুধবার শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এক্স-রে করিয়ে দেখা যায়, সেই বাদামটি দেবরাজের ফুসফুসে আটকে রয়েছে!
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করে বাদামের টুকরোটি বের করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গণেশ চন্দ্র ও আশিস ঘোষ। দেবরাজের এখন সুস্থ রয়েছে।
মধুমিতা দেবী বলেন, আমার ভুলেই কষ্ট পেল ছেলেটা। আমার উচিত ছিল চিকিৎসকদের আগেই ঘটনাটি খুলে বলা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
বিডি প্রতিদিন/৫ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা