সীমান্ত পেরিয়ে যাতে একটি গরুও বাংলাদেশের দিকে না যায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের সুকান্তসদনে জেলা প্রশসনের বৈঠকে গরুসহ যেকোন পাচার রোধে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিতৎ কর পুরকায়স্থ গরু পাচারের বিষয়টি উত্থাপন করার পরই মমতা বলেন ‘পাচারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কঠোর ভাবে যেন এটা দমন করা হয়। গরু পাচার কিংবা অন্য পাচার-কারও সঙ্গেই এব্যাপারে সমঝোতা করা যাবে না’।
বসিরহাট থানার অফিস-ইন-চার্জ (আইসি) নাসিম আখতার’কে উদ্যেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘যে নেতা যাই বলুক-সে আমারই হোক বা অন্য দলেরই হোক-গরু পাচার হবে না। হবে না তো, হবে না। এটাই আমার প্রথম এবং শেষ সতর্কবার্তা’। উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জিকেও নির্দেশ দেন সীমান্ত দিয়ে যাতে কোন পাচার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। পুলিশ সুপারও জানান ‘এই বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার একাধিক জায়গা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে গবাদি পশু সহ বিভিন্ন জিনিস পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু পাচারকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগশাজসের কারণে সীমান্ত দিয়ে পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় নি। কেন্দ্রে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকারে ক্ষমতায় আসার পরও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কয়েকবার সীমান্ত পরিদর্শন করে এই জেলার সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার ঠেকাতে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গবাদি পশু নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও এদিন মুখ খুলেছেন মমতা। তিনি বলেন ‘পশু জবাইয়ের নাম করে যে আইন করা হয়েছে সেটা পুরোটাই রাজ্যের বিষয়। রাজ্য যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন না করছে ততদিন পর্যন্ত এটা মানার কোন কারণ নেই’। যদি কেউ এটা নিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। মমতা বলেন ‘রামজান মাস চলছে-এটা যেন শান্তিতে চলতে পারে-এটা দেখার দায়িত্ব সকলের। আমাদের দুর্গাপুজা, কালীপুজা করার অধিকার আছে তেমনি বড়দিন পালন করার অধিকার আছে, রমজান করার অধিকারও আছে, ঈদ করার অধিকার আছে। যাতে কোন রকম কোন সমস্যা না হয় এটাকে দেখতে হবে’।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার