ভারতের সুপ্রিম কোর্টে অন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত জেলেই যেতে হল কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সি.এস.কারনান(৬২)-কে। আজ দুপুরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। আপাতত সেখানেই কাটাতে হবে কারনানকে। গতকাল রাতে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর থেকে কারনানকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বুধবার সকালেই তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। কিন্তু শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচুড় ও সঞ্জয় কিশান কৌল’এর নেতৃত্বে অবসারকালীন বেঞ্চ জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ছয় মাসের কারাদন্ড বহাল রাখে। ফলে কারাগারে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিল না কারনানের কাছে।
এদিকে বুধবার সকালেই কোয়েম্বাটোর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় কারনানকে। কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিশেষ চিকিৎসক দল। এর পরই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় কারনানকে।
উল্লেখ্য, আদালত অবমাননার অভিযোগে গত ৯ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি কারনানকে ৬ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জে.এস.খেহরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ কারনানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপর থেকেই গ্রেফতারি এড়াতে গা ঢাকা দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। মোবাইলের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে কোয়েম্বাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে গত ১২ জুন বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন কারনান। ভারতের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কর্মরত হাইকোর্টের বিপারতি যাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার