পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক আদালত। দোষীদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে।
বুধবার কড়া প্রহরার মধ্যে এই মামলায় অভিযুক্ত ৩১ জনকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই কোর্টে তোলা হয়। আদালতে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’এর আইনজীবী শ্যামল ঘোষ, অভিযুক্তদের আইনজীবী মহম্মদ আবু সেলিম ও ফজলে আহমেদ।
এরমধ্যে অভিযুক্ত ১৯ জন তাদের দোষ স্বীকার করে জানায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা প্রত্যেকেই সম্পৃক্ত ছিল। দোষ স্বীকারের পিছনে কোনও মহলের পক্ষে চাপও ছিল না। তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। এরপরই সবপক্ষের জবানবন্দি শুনে ওই ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বাকি ১২ জন অভিযুক্ত তাদের দোষ স্বীকার করেনি। তাদের বিরুদ্ধে ফের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
আগামী ৩০ আগস্ট সিবিআই আদালতের প্রধান বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের এজলাসে দোষীদের সাজা ঘোষণা হতে পারে বলে আদালত সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে শাকিল আহমেদ এবং শোবহান মন্ডল নামে দুই সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নিহত হয়। ওই ঘটনায় প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা সিআইডি তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্তের ভার নেয় এনআইএ। তদন্তে নেমে বাংলাদেশি নাগরিকসহ একাধিক ব্যক্তিদের জেরা করেই এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জামায়াত যোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনলফুল প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউপিএ), অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়।
তদন্তে নেমে সে সময় তদন্তকারী কর্মকর্তারা এও জানতে পারেন যে, অভিযুক্তরা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমানসহ চারজেলায় অস্ত্রশস্ত্র বিস্ফোরক তৈরি, নাশকতা তৈরি ও জেহাদি প্রশিক্ষণ, জঙ্গি নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ভারতের মাটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানো এবং সে দেশের গণতান্ত্রিক সরকার’কে উৎখাত করার মতো ষড়যন্ত্র ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি।
বিডি প্রতিদিন/কালাম