ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যুব মোর্চা।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে পৌরসভা পর্যন্ত মিছিল বের হয়।
সেই মিছিলের প্রথম সারিতেই ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক ইন্দ্রনীল খাঁ, কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ, মিনা দেবী পুরোহিতসহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। মিছিলে শামিল হন দলের কয়েক শতাধিক কর্মী সমর্থক। মিছিল সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে পৌরসভার দিকে এগোতেই মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। এরপরই বিজেপির সমর্থকরা রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিক্ষোভের জেরে প্রায় ২০ মিনিট ধর্মতলা গামী সমস্ত যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমেই বিজেপি বিধায়ক অগ্নি মিত্রা পালসহ কয়েকজন বিজেপি সদস্যকে আটক করে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তাদের প্রিয়জন ভ্যানে তোলা হয়।
পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী এদিন দুপুর ১টা দিকে রাজ্য সদর দফতরের সামনে বিজেপির জমায়েত শুরু হয়। এরপর শুরু হয় মিছিল, হাতে ডেঙ্গু সচেতনতা সম্পর্কিত পোস্টার, ব্যানার হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সেই মিছিল এগোতে থাকে পৌরসভার দিকে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পৌরসভার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলে বিজেপির শীর্ষ নেতারা স্লোগান দিতে থাকে।
ডেঙ্গুবিরোধী অভিযানে নেমে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেওয়ার কথা ছিল বিক্ষোভকারী প্রতিনিধি দলের। কিন্তু মিছিলের মাঝপথেই একাধিক বিজেপি নেতাকর্মীকে আটক করায় সেই কর্মসূচিতে ছেদ পড়ে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার বা কলকাতা পৌরসভার তরফেও চেষ্টার কোনো কমতি নেই। কিন্তু রোগী বাড়ছে। ইতোমধ্যে গোটা রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।
এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবারই কলকাতায় মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশি নারীর। ৫৮ বছর বয়সী শিপ্রা দাস নামে ওই নারী ডেঙ্গু নিয়ে সম্প্রতি ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে কলকাতাতেও যথেষ্ট আলোড়ন পড়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে বিজেপির এই বিক্ষোভ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ