৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৯

দিল্লি গেলেন মমতা ব্যানার্জি, চাদর চড়াবেন আজমির শরিফে

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

দিল্লি গেলেন মমতা ব্যানার্জি, চাদর চড়াবেন আজমির শরিফে

চার দিনের সফরে দিল্লি গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা একটি বৈঠকে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি একটি মুসলিম ধর্মস্থান এবং একটি হিন্দুর ধর্মস্থান পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

সোমবার সকলের দিকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা ব্যানার্জী। তার সঙ্গে দিল্লি সফরে গেছেন তার ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী।

আগামী বছর, ২০২৩ সালে জি-২০ (G-20) গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক নেতাদের এই সমাবেশের সুষ্ঠু আয়োজনের স্বার্থে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ে সোমবার বিকাল ৫টায় বৈঠক ডাকা হয়েছে দিল্লিতে। ওই বৈঠকের সভাপত্ত্বি করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই উপস্থিত থাকবেন মমতা ব্যানার্জী। মমতা বলেন, আজ বিকেল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রী G-20 এর প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছেন। আগামী বছর এই সম্পর্কিত বেশ কিছু বৈঠক পশ্চিমবঙ্গেও হবে। 

তবে আলাদা করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা নেই মমতার। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না G-20 বৈঠকের ফাঁকে ওয়ান-অন-ওয়ান বৈঠকের কোনো সম্ভাবনা আছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার রাজস্থানের আজমির শরিফে যাবেন মমতা। সেখানে সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়াবেন মমতা। এরপর তিনি পুষ্কর নামক জায়গায় ব্রম্মার মন্দির দর্শনে যাবেন। 

গত প্রায় কয়েকশো বছর ধরে ওই সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগায় চাদর চড়ান হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ। সেই সুফি ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আজমির শরিফের দরগায় যেমন ভারতীয় রাজনীতিক রাজনীতিবিদরা চাদর চড়িয়েছেন, তেমনি বিদেশের রাষ্ট্র নেতারাও ভারত সফরে এসে আজমির শরিফ পরিদর্শন করে চাদর চড়িয়েছেন। আর এবার সেখানেই যাচ্ছেন মমতা। 

আজমির শরিফের খুব কাছেই রয়েছে পুষ্কর। স্থানীয় মানুষ বলে গোটা পৃথিবীতে একমাত্র পুষ্করেই রয়েছে দেবতা ব্রহ্মার মন্দির। পুষ্করের হ্রদের সামনে গিয়েও প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা। সেখানেও যাবেন মমতা। 

এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার দিন সকালে আজমির শরিফ যাব, সেখান থেকে পুষ্কর যাবো। এরপর রাতে ফের দিল্লিতে ফিরে আসবো।

তিনি আরও বলেন, আজমের শরীফ থেকে পুষ্কর- এটাই আমার স্বপ্নের প্রকল্প। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন আজমির শরিফ এবং পুষ্করে আমি প্রকল্প বাবদ পুরো অর্থ বরাদ্দ করেছিলাম। তখন রেল মন্ত্রণালয় বলেছিল এটা কি সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান নয়? আমি বলেছিলাম আজমির শরীফ ও পুষ্কর যদি সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান (communal program) হয় তবে আমাকে তাই করতে দিন। কারণ একটা মুসলিম এবং আরেকটি হিন্দুদের পবিত্র স্থান। বহু মুসলিম আজমির শরিফে বেড়াতে যান। তারা আমার কার্যালয় এসে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাই আমি সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছি।

আগামী বুধবার দলের সমস্ত সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন তৃণমূল প্রধান। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর