রকেটের গতিতে দাম বাড়ছে টমেটোর। পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, বেঙ্গালুরু, গুজরাট, চেন্নাই, মধ্যপ্রদেশসহ কোথাও ১০০ রুপি, কোথাও তা ১২০ থেকে ১৫০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অত্যধিক তাপমাত্রা, বিলম্বিত বর্ষার কারণে টমেটোর ফলন নিম্নমুখী। স্বাভাবিকভাবেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে টমেটোর দাম ঊর্ধ্বমুখী। দিন কয়েক আগেও কেজি প্রতি যে টমেটোর দাম ছিল ৩০ থেকে ৫০ রুপি, এক ধাক্কায় তার দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত ক্রেতাদের। যদিও সরকারি রিপোর্ট বলছে, টমেটোর দামের এই আকস্মিক বৃদ্ধি ‘অস্থায়ী’ বিষয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দামও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
রান্নাঘরে ভীষণভাবে প্রয়োজনীয় উপকরণ টমেটো। দাম বেড়ে যাওয়ায় টমেটোর বাজারে কাটছাঁট করতে হয়েছে ক্রেতাদের। আর যাদের না কিনলেই নয়, তাদের এই দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে।
টমেটোর এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলিতে মজাদার মিম ছড়িয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলিও বিক্ষোভ, প্রতিবাদে নেমেছে।
টমেটোকে বহু মূল্যবান সামগ্রী হিসেবে বর্ণনা করে বন্দুক দিয়ে পাহারা দিতেও দেখা গেছে প্রতীকী প্রতিবাদস্বরূপ। অভিনব এই প্রতিবাদ দেখা গেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে। ব্রিফকেসের মধ্যে টমেটো রেখে সেই টমেটো বন্দুক নিয়ে পাহারা দিতে দেখা গেছে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, টমেটোর দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ব্রিফকেসের মধ্যে রেখে বন্দুক দিয়ে পাহারা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র ভিকি খোঙ্গল বলেন, কংগ্রেসের শাসনকালে মুদ্রাস্ফীতিকে ‘ডাইনি’ বলে আখ্যায়িত করা হতো। আর এখন বিজেপির শাসনকালে এই মুদ্রস্ফীতি তাদের কাছে ‘ডার্লিং’ হয়ে উঠেছে।
খোঙ্গল বলেন, আগে সোনা, রূপা, হীরা, মুক্তাসহ মূল্যবান ধাতু সুরক্ষিত রাখতে লকারে রাখা হতো। কিন্তু আমরা চাই না, আগামী দিনে খাদ্যসামগ্রী এ রকমভাবে সুরক্ষা দিয়ে লকারে রাখা হোক। আমরা সরকারকে সেই বার্তাটাই দিতে চেয়েছি। তবে শুধু টমেটো নয়, দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ (৩০০ রুপি প্রতি কেজি) ধনিয়া পাতা (২০০ রুপি) আদার (৩০০ রুপি প্রতি কেজি)।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
