তুরাগ নদের তীরে সীমানা পিলার স্থাপনের বিষয়ে ৬২ পরিবারের করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। ৬২ জনের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাহাদ মাহমুদ। পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরে মনজিল মোরসেদ জানান, তুরাগ নদ রক্ষায় এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে ২০০৯ সালের ২৪ ও ২৫ জুন রায় দেয় হাই কোর্ট। রায়ে নদীর সীমানা নির্ধারণ, পিলার স্থাপনসহ কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) এবং রিভিশনাল সার্ভের (আরএস) ভিত্তিতে নদের সীমানা জরিপ করে বিআইডব্লিউটিএ। এরপর নদের সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হয়। এই পিলার স্থাপন নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি আপত্তি জানান। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিকে নদীর জমি হিসেবে দেখানো হয়। এ ঘটনায় সীমানা পিলার ঠিক করতে সাভারের বড়দেশী মৌজার ৬২ পরিবার বিআইডব্লিউটিএর কাছে লিখিত আবেদন করে গত বছরের ২৭ নভেম্বর। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ আবেদন নিষ্পত্তি না করায় ৬২টি পরিবারের পক্ষে মো. জোনায়েদ আহম্মেদ হাই কোর্টে রিট করেন। আদালত কোনো প্রকার ‘ইনজাংশন’ না দিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কাছে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে আদেশ দিয়েছে বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
