শিরোনাম
শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

লোকালয়ে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত বানর

দিনাজপুর প্রতিনিধি

লোকালয়ে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত বানর

বন-জঙ্গল ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানর। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এসব বানর ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ দেখে ভয় পাচ্ছে আবার অনেক ছেলে তাদের দেখে ঢিল মারার কারণে বানরগুলো পালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে তারা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছোটাছুটি করছে। কোথাও নির্দিষ্টভাবে থাকছে না। তবে অনেকে তাদের দেখে খাবারও দিচ্ছে এবং সে খাবার ভয়ে ভয়ে নিয়ে খাচ্ছে। তাদের দলবেঁধে বেড়াতে দেখা যায়নি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিনটি বানর দেখা গেছে। তবে বানরগুলোকে দেখে অনেকে বলছেন, তারা ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত। এ বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে বনবিভাগের এগিয়ে আসা উচিত, বললেন স্থানীয়রা।

শহরের মীর কাসেম লালুসহ স্থানীয়রা জানান, বানর দেখে কিছু কৌতূহলী মানুষ আনন্দ পেলেও, অনেকে আবার ভয়ও পেয়ে থাকেন। কেউ হামলার আশঙ্কায় তাদের তাড়া করেন। তাড়া খেয়ে পাড়া  থেকে পাড়ায় ছুটে চলা বানরগুলো ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাদের এ দুর্গতি দেখে খাবার নিয়ে এগিয়ে এসেছে সোহেল আহমেদ, অনুপম ঘোষ তুষারসহ অনেকে। তিনটি বানর দেখা যায়। এ বানরগুলো পাশে সিংড়া ফরেস্টে চলে যায় আবার লোকালয়ে আসে। 

এর মধ্যে তরুণ ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ বলেন, ঠিকমতো খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসা অসহায় বানরগুলো বেশ ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে তাদের পুনর্বাসনে সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ সব বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে আমাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

বীরগঞ্জ শহরের অনুপম ঘোষ তুষার জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ আমার বাসায় একটি বানর এসে উপস্থিত। বানরকে উত্ত্যক্ত করলে ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষের ওপর চড়াও হওয়ার খবর শুনে প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। তবে বানরটি আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। আমি তাকে কলা খেতে দিলে, পরে সে চলে যায়।

জাতীয় উদ্যান বীরগঞ্জ শালবনের বিট কর্মকর্তা গদাধর রায় জানান, বীরগঞ্জ পৌর শহরের লোকালয়ে বানরের অবস্থানের বিষয়টি জানা ছিল না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি অবহিত করার পর নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর